পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিকতর স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র ব্যক্তিশ্রেণীর (স্থানীয় ও বিদেশী) বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ০১৯ সনের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখের পূর্বে বিতরণ করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ ৭ই জুন ডিওএস সার্কুলারের মাধ্যমে এই নতুন নিয়মটি ঘোষণা করেছে।
ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১১ ই মে তাদের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের সার্কুলার নং ৩ এর মাধ্যমে ব্যাংক সমূহের ২০১৯ সালের ডিভিডেন্ড ঘোষণার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মুনাফা অবন্টিত রেখে ব্যাংকের মুলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব দিয়ে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে।
উক্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে যেসব ব্যাংকের পূর্ব থেকে কোন সব ব্যাংকের পূর্ব থেকে কোন প্রভিশন ঘাটতি নেই এবং ক্যাপিটেল কনজারভেনশন বাফারসহ কমপক্ষে ১১.২৫ % হতে অনুর্ধ ১২.৫% মূলধন সংরক্ষণে সক্ষমে সম্ভব হবে সেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৭.৫% নগদ সহ মোট ১৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
প্রভিশন সংরক্ষণ সহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ২০১৯ সালের জন্য বা ইতিপূর্বে গৃহীত প্রভিশন বকেয়া সমন্বয় করা হলে যেসব ব্যাংক ক্যাপিটেল কনজারভেনশন বাফারসহ কমপক্ষে ১১.২৫ % হতে বেশী মূলধন সংরক্ষণে সক্ষমে সম্ভব হবে সেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫%নগদ সহ মোট ১০% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
প্রভিশন সংরক্ষণ সহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ২০১৯ সালের জন্য বা ইতিপূর্বে গৃহীত প্রভিশন বকেয়া সমন্বয় করা হলে যেসব ব্যাংক ক্যাপিটেল কনজারভেনশন বাফারসহ কমপক্ষে ১১.২৫ % এর কম কিন্তু ন্যুনতম ১০% মূলধন সংরক্ষণে সক্ষমে সম্ভব হবে সেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫% স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
প্রথম দুইটি নগদ ডিভিডেনড ৩০শে সেপ্টেম্বরের পূর্বে প্রদান না করতে বলা হয়েছে।