বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমে রপ্তানী উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছে।
ব্য্যংকের অনুমোদিত ডীলার শাখা ( এডি শাখা) সমূহ কতৃক বি জি এম ই এ এবং বিটিএমইএ র সদস্যবৃন্দের কাঁচা মাল আমদানীর জন্য খোলা ঋণপত্রের মুল্য পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানীকারককে এডি শাখার মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে। এই ঋণ দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে রপ্তানীর কাঁচা মাল আমদানীর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রপ্তানীকারকদের সাশ্রয় করা এবং কাঁচামাল আমদানীতে বিক্রেতার নিকট থেকে আরো মূল্য সুবিধা পাওয়া।
এর ফলে ব্যাংক সমূহের নগদ তারল্যের উপর চাপ কমবে এবং বৈদেশিক মূদ্রা ক্রয়ের জন্য ব্যাংকগুলোকে কম হিমশিম খেতে হবে। করোনা জনিত অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনায় ইডিএফ এর সীমা বৃদ্ধিও একটি অন্যতম উপাদান।
এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ইডিএফ ফান্ডের আকার ও সুদহারে পরিবর্তন এনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৭ এপ্রিল প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী ইডিএফের আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি কমানো হয়েছে সুদের হার। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ইডিএফের ঋণের বিপরীতে লাইবর + ১ শতাংশ সুদ রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকের এডি শাখাগুলো গ্রাহক পর্যায় থেকে ২ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে।
চলতি বছরের (২০২০) শেষ সময় পর্যন্ত (৩১ ডিসেম্বর) এ সুবিধা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।