চলতি অর্থবছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান সংকলন করে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।
ইপিবির তথ্য অনুসারে, এর মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ইউরোপের বাজারে মধ্যে জার্মানিতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। স্পেনের বাজারে ২৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ফ্রান্সের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়াও ইইউর অন্যান্য দেশেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে.
ইউরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত দুই মাসে ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। এছাড়া যুক্তরাজ্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। কানাডায় আরএমজি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮দশমিক ৪৯ শতাংশ।
একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি বেড়েছে ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ আর ভারতে রপ্তানি বেড়েছে ৯৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে এ সময়ে রাশিয়া ও চীনে রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৫৮ দশমিক ২৯ এবং ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বণিক বার্তাকে বলেন, যদিও ২০২১ সালের আগস্টের তুলনায় ২০২২ সালের আগস্টে রফতানি বেড়েছে। বিভিন্ন সূচক ও পর্যবেক্ষণ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রেকর্ড মূল্যস্ফীতি খুচরা ব্যবসাকে প্রভাবিত করতে পারে। যার প্রভাবে এই মাস থেকে প্রবৃদ্ধি কমে আসতে পারে। বেশ কয়েকটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড বিক্রয় এবং অবিক্রিত স্টক হ্রাসের সংকটে ভুগছে, তাই তারা শেষ পর্যন্ত বর্তমান অর্ডার এবং উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের শিল্পও ভবিষ্যত সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি সংকট মোকাবেলায় সরকারের সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং আমরা পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারবো।