খেলাপী ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের গ্রুপভূক্ত অন্য প্রতিষ্ঠানের ঋণসুবিধা প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়ম


বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রুপভূক্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান  ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা না হলে সেক্ষেত্রে গ্রুপভূক্ত অন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কো¤পানীকে ঋণ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে সার্কুলার প্রদান করেছে।
কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ২৭কক(৩) অনুযায়ী কোনো খেলাপী ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনোরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। তবে, একই আইনের ৫(গগ) ধারার বিধান অনুসারে পরস্পর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গ্রুপভূক্ত কোনো খেলাপী ব্যক্তি বা ক্ষেত্রমত, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যদি ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা না হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হওয়ার কারণে ঐ গ্রুপভূক্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী বলে গণ্য হবে না এবং এরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
গ্রæপভুক্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান  ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা না হলে সেক্ষেত্রে গ্রুপভূক্ত অন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান  ঋণ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় যেসব নির্দেশনাসমূহ সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে: (১) কোনো ঋণ গ্রহীতা খেলাপী হিসেবে চিহ্নিত হলে উক্ত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে ব্যাংক কর্তৃক কোনোরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে না; (২) গ্রুপভূক্ত খেলাপী কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত/তালিকাভুক্ত না হলে ঐ গ্রুপভূক্ত অন্য কোনো/সকল প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে; (৩) তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রুপভূক্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে চ‚ড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর উক্ত তালিকাভুক্তির বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ঋণ গ্রহীতা কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আপীল করা হলে, উক্ত আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সার্কুলারের অনুচ্ছেদ নং-৩(২) এ বর্ণিত সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আবেদন করা যাবে না; (৪) গ্রুপভূক্ত প্রতিষ্ঠান কে উপর্যুক্ত অনুচ্ছেদসমূহের আওতায় এরূপ ঋণ সুবিধা প্রদানের পরবর্তী ০১(এক) বছরের মধ্যে গ্রুপভূক্ত খেলাপী ঋণহিসাবটি বিদ্যমান আইন/নীতিমালা অনুসরণ করত সমন্বয়/নিয়মিত করতে হবে। উক্ত সময়ের মধ্যে খেলাপী ঋণহিসাব সমন্বয়/নিয়মিত করতে ব্যর্থ হলে অথবা ঋণহিসাব নিয়মিতকরণের পর পুনরায় খেলাপী হিসেবে চিহ্নিত হলে গ্রুপভূক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে নতুন করে আর কোনো ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে না; (৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন গ্রহণের লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে নির্দ্দিষ্ট ছক মোতাবেক আবেদন করতে হবে এবং এতদ্সংক্রান্ত ঋণ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের গৃহীত সিদ্ধান্তের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে দাখিল করতে হবে; পরবর্তী পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য পূর্ববর্তী পৃষ্ঠার পর: -২- (৬) বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলকৃত আবেদনপত্রের সাথে গ্রুপভূক্ত খেলাপী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হওয়ার কারণসমূহ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে; (৭) উক্ত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা কি না তা নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট সংযুক্ত করতে হবে। সিআইবি-তে রিপোর্টিং এর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশনা জারির পূর্ব পর্যন্ত উক্ত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা নন মর্মে সংশ্লিষ্ট সকল ঋণদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করত তা সংযুক্ত করতে হবে; (৮) এতদ্সংক্রান্ত ব্যাংকের যাচিত পূর্বানুমোদনের আবেদন নি®পত্তির নিমিত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় যাচিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র/দলিলাদি ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহ করতে হবে; (৯) পূর্বানুমোদন প্রদানের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গ্রুপভূক্ত খেলাপী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ, ঋণ আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতার ব্যাংক হিসাব ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং পরিদর্শন দলের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী পর্যালোচনার লক্ষ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে; (১০) এরূপ পূর্বানুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চ‚ড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *