বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম ও প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার। ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে– শেষ পর্যায়ে থাকা প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন এবং সব ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের কাজ করা। এসব ভবন নির্মাণে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা এবং সোলার সিস্টেম রাখা। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বন্যা এবং নদীভাঙন রোধে বিশেষ নজর দিতেও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৬ কোটি লাখ টাকা। এ অর্থের ৭ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব এবং ৪৮৬ কোটি টাকা উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো– মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ। রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পে বাড়তি ৯৩ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন। কাশীনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা।