মার্চে রফতানি বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ


সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে দেশে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৫ হাজার ১০২ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সদ্যবিদায়ী মার্চ মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০২ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ হাজার ৬৪৩ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবশ্য মার্চের রফতানি প্রায় ১০ শতাংশ বাড়লেও মাসিক লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কম।

এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৫৪ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি আয় ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ২০২ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলারে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কম।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ২১ হাজার ১১ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ১৬ হাজার ১৯১ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমেছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩৬ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ডলারে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম।

 এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯৪ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলারে, যা গত অর্থবছরে জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ছিল ৯১৯ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার।

তবে জুলাই থেকে মার্চ মাসের মধ্যে কৃষিপণ্যের রফতানি আয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭১৫ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *