রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল


বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের ঋণের ৫০৭ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বুধবার দিনের শুরুতে রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। 

এর আগে, আকুতে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর সোমবার রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়, যা ছিল গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সমকালকে বলেন, আগামী জুনের মধ্যে গ্রস রিজার্ভ আবার ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০২১ সালের আগস্টে। করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে, খরচ হচ্ছে সে তুলনায় বেশি। বাড়তি চাহিদা মেটাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ এপ্রিল দেশের রিজার্ভ ছিল ৪৪ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে কমে গত বছর ডিসেম্বর শেষে ৩৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলারে নামে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। গত অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে টাকা উঠে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার পাশাপাশি টাকা তারল্যেও চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার উন্নয়নে আমদানি কমানোর বিভিন্ন উপায় খুঁজছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *