ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা


নানামুখী আর্থিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

ব্যাংকটির সর্বশেষ (৩১ ডিসেম্বর ২০২২) সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর সমন্বিত কর পরবর্তী নেট মুনাফা বেড়েছে ২৮ শতাংশের বেশি।

অব্যাহত অগ্রগতির ধারাবাহিকতা সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কর পরবর্তী নিট মুনাফা ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা যা আগের হিসাব বছরে এ মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধান ব্যাংকের নেট মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ যা হিসাব বছরে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএম) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা যা আগের হিসাব বছরের ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা। ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২১ পয়সা যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৪০ টাকা ৮২ পয়সা।

অপরদিকে সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদের ঋণমান ‘এএএ’ ও স্বল্প মেয়াদে ঋণমান (এসটি-১) যা (ইসিআরএল) ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের মাধ্যমে এ ঋণমান নির্ধারণ করেছে।

ব্যাংকটি সর্বশেষ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে (এজিএম) সাধারণ সভা আগামী ২২ জুন নির্ধারণ করেছে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ মে।

উল্লেখ্য, ব্যাংকটি ২০২০ হিসাবে বছরের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আগের বছরেরগুলোতে ২০১৬-১৭-১৮-১৯ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদ। তবে ২০১৫ সালে শেয়ারহোল্ডাররা ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।

রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ৯৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ টাকা। যার মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৫৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারী ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারী ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।

সর্বশেষ ডিএসইতে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর (বৃহস্পতিবার) ছিল ৩২ টাকা ৮০ পয়সা, সমাপনী দর ছিল ৩৩ টাকা যা এক বছরে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল ৩১ টাকা ও ৩৬ টাকা যা নিরীক্ষিত বাজার দরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত ১০ দশমিক ৯৭, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

Author


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *